লাপাত্তা ‘ভাতের হোটেলের’ হারুন
নিউজ-ডেস্ক, আজকের বাংলাদেশ;
ফাইল ছবি |
তীব্র গণআন্দোলনের মুখে দেশ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ সোমবার (৫ আগস্ট) পালিয়ে যান। এরপর থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মুখেমুখে ‘ভাতের হোটেল’-এর হারুনের কথা জানতে চান।
Table of Contents
দেয়াল টপকে পালালেন ডিবির সেই হারুন
সর্বশেষ গণমাধ্যম সূত্র বলছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার আগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ। এর আগে তিনি পুলিশ সদর দপ্তরের দেয়াল টপকে পালিয়ে যান।আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, হারুন পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বের হয়ে সোজা চলে যান হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে। সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। এ সময় সেনা সদস্যরা তাকে আটক করেন। তবে সেখান থেকে তাকে কোথায় নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। এমন খবর সারাদিন বিভিন্ন জনের কাছ থেকে জানার হলেও সর্বশেষ সত্যটা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
যেভাবে উত্থান ‘ভাতের হোটেল’ এর
বিভিন্ন সময় দেশের আলোচিতদের ডিবি অফিসে নিয়ে ভাত খাওয়ানোর নামে হুমকি ধামকি দিতেন হারুন—এমন তথ্য জানিয়েছেন অনেকে। তার এমন কর্মকাণ্ড লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে বিশেষ নামে। যদিও হারুনের ভাতের হোটেল নামটি আলোচনায় আসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আটক করে ডিবি অফিসে জোর করে ভাত খাওয়ানোর পর। সে সময় তিনি গয়েশ্বরকে জোর করে ভাত খাইয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন নিজেই।
সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতাল ও তাদের বাসাবাড়ি থেকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে ডিবি অফিসে আটকে রাখেন। কয়েকদিন তাদের আটকে রেখে নির্যাতনের পর খাবার টেবিলে বসিয়ে ছবি তুলে নিজের ফেসবুকে তুলে ধরেন। একইদিন রাতে হারুন সমন্বয়কদের একটি ছোফায় বসিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ভিডিও রেকর্ড করে গণমাধ্যমে পাঠান। এ ঘটনায় হাইকোর্ট ডিবি হারুনের ভাতের হোটেলের বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে ভাতের হোটেলের নামে জাতীয় তামাশা বন্ধেরও নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশের ২০ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা। ২০১১ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুককে সংসদ ভবন এলাকায় বেধড়ক পিটিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। নজর কেড়ে নেন সরকারের। গুরুত্বপূর্ণ পদক দিয়ে তাকে দ্রুত পদোন্নতি দেওয়া হয়।
ডিবিতে দায়িত্ব পালনের সময় বিকৃত সুরে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ার অভিযোগে হিরো আলমকে আটক করেও বিতর্কের জন্ম দেন তিনি। হিরো আলমকে আটকের ঘটনাটি সে সময় বিদেশি মিডিয়াতেও ফলাও করে প্রচার হয়।
কোন মন্তব্য নেই